‘বাবরনামা’ বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক আত্মজীবনী, যেখানে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবরের জীবন, যুদ্ধ, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিগত অনুভূতি এক অনন্য ভঙ্গিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। মূলত তুর্কি ভাষার চাঘাতাই উপভাষায় রচিত এই গ্রন্থ কেবল একটি রাজনৈতিক ইতিহাস নয়; এটি ষোড়শ শতকের মধ্য এশিয়া, আফগানিস্তান, ভারত এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ভূগোল, সমাজ, অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জীবন্ত…

“স্বাধীনতা সংগ্রামী নজরুল: ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় সৈনিক” গ্রন্থটি মূলত কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের সেই অধ্যায়কে তুলে ধরে, যেখানে তিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে একজন অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। নজরুলের সাহিত্য, সংগীত, এবং সমাজ-রাজনীতিতে তার অগ্রণী ভূমিকা তাঁকে শুধু বাংলা সাহিত্যজগতেই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসেও একটি উজ্জ্বল নাম করে তুলেছে। এই…

কবিতার ইতিহাসে কাজি নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি এক অনন্য সাধারণ নির্মাণ। আজ থেকে ঠিক শতবর্ষ আগে রচিত এ কবিতা বর্তমান সময়েও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, শুধু তাই নয় বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে এই কবিতা প্রাসঙ্গিক থাকবে। মাত্র ২২ বছর বয়সে নজরুল রচনা করেন প্রায় ১৫০ পঙক্তির এই ভুবনবিজয়ী কবিতা। এই কবিতা লেখার জন্যই কাজি নজরুল ইসলামের পাশে…

কাজি নজরুল ইসলাম এবং জীবনানন্দ দাশ উভয়েরই জন্ম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু কবি হিসাবে নজরুল ইসলাম জীবনানন্দ দাশের এক দশক পূর্বে নিজের অবস্থান বাংলা সাহিত্যে পাকা করে নেন। জীবনানন্দের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝরাপালক’ প্রকাশিত হওয়ার আগেই নজরুল তাঁর অধিকাংশ সৃষ্টি বাঙালি পাঠককে উপহার দিয়ে গেছেন, অর্থাৎ যেসব সাহিত্যের জন্য নজরুল বাংলা সাহিত্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁর…

জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা। বাংলা সাহিত্যে যতগুলো রোমান্টিক কবিতা রচনা করা হয়েছে সেইসব কবিতার জনপ্রিয়তাকে অতিক্রম করে গেছে জীবননানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ নামক এই রোমান্টিক গীতি কবিতা। শুধু তাই নয় রবীন্দ্রোত্তর যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ রোমান্টিক কবিতা হল ‘বনলতা সেন’। এমনকি জীবনানন্দের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হল তাঁর রচিত কবিতা ‘বনলতা…

জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক। জীবনানন্দ যেহেতু ইংরেজি সাহিত্য পড়াতেন তাই দারুণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের বহুমাত্রিকতায়। জীবনানন্দ ইউরোপীয় কাব্যধারাকে গ্রহণ করেছিলেন এবং সফলভাবে বাংলা কবিতায় প্রয়োগ করেছিলেন। সেজন্য তাঁর কবিমনস্কতাতেও পাশ্চাত্য কবিদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। শুধু জীবনানন্দই নন রবীন্দ্রোত্তর আধুনিক কবিদের কবিতার অভিমুখ পাশ্চাত্যমুখী। যেহেতু জীবনানন্দ দাশকে আধুনিক কবিতার প্রাণ পুরুষ…